এবছর রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন ২৫৪ জন। ধর্মপ্রাণ বিবেচনায় সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে হজের সুযোগ করে দেয়।
রোববার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি খরচে হজ পালনকারীদের তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা সরকারি হজ প্যাকেজ-২ এর আওতায় হজ পালন করবেন। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে হজ পালনের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের এবার বিমান ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় খরচে হজপালনকারী প্রত্যেককে প্লেনের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পে-অর্ডার করে জমা দিতে হবে। পে-অর্ডার জমা না দিলে তার ভিসা প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। এছাড়াও তাদের সম্ভাব্য ফ্লাইট ৭ জুলাইয়ের পর থেকে পরিচালিত হবে।
তালিকায় থাকা সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী যারা রয়েছেন তারা সৌদি আরবে অবস্থানের সময়ে নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রায় যথারীতি বেতন ও ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এসব হজযাত্রীদের মধ্যে বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লিরা রয়েছেন।
তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তালিকায় অন্তত দেড়শ ব্যক্তি আওয়ামী লীগ ও সরকার গঠনে একসঙ্গে থাকা অন্যান্য দলের নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবারের লোকজন। তালিকায় বেশির ভাগ ব্যক্তির দলীয় পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
তালিকায় ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের নির্বাচনী এলাকা জামালপুর-২ সহ ওই জেলার ৩৩ জনের নাম রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।